শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
বছরের প্রথম দিনে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেল

বছরের প্রথম দিনে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেল

বছরের প্রথম দিনে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেল
বছরের প্রথম দিনে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেল

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে নতুন বছরে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেয়া হয়েছে নতুন বই। এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে অন্য বছরের মতো বই উৎসব ছাড়াই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষেই এ বই বিতরণ কার্যক্রম হয়েছে।

দীর্ঘদিন পর নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পেরে এবং নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। তবে মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে সীমিত আকারে বই বিতরণ হয়েছে। মাধ্যমিকের অর্ধেকের বেশি বই এখনও পৌঁছেনি স্কুলে।

সরকারি ছুটির দিন সকালে রাজশাহীর সরকারি পিএন স্কুলে গিয়ে দেখা যায় প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করছেন স্কুলের শিক্ষকরা। নতুন বই নিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে হাজির হয়েছিল দীর্ঘ ১০ মাস পর। সঙ্গে এসেছিলেন অভিভাবকরা।

সরকারি পিএন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৌহিদ আরা বলেন, ২০২১ সালে বাচ্চাদের হাতে আমরা যে নতুন বই দিতে পারব- এটা যেমন বাচ্চারা ভাবতে পারেনি, তেমনি আমরাও ধারণা করতে পারিনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাচ্চারাও অনেক খুশি হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বই বিতরণের কার্যক্রম হয়েছে। বই নিয়ে শিশুরা নিজ নিজ ঘরে ফিরেছে।

অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন বই আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হবে।

ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফ্রা তাসনিম অওরা জানায়, করোনা মহামহারীর মধ্যেও নতুন বই হাতে পেয়ে ভালো লাগছে। পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হলেও নতুন করে শুরু করতে চায় এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সানজিদা নামের আরেক শিক্ষার্থী জানায়, অনেক দিন পর সব বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে; সাথে নতুন বই পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

এদিকে রাজশাহীর অন্যান্য প্রাথমিক স্কুলসহ ইবতেদায়ী মাদ্রাসাতেও বই বিতরণ হয়েছে। রাজশাহী জেলায় ১ হাজার ৫৭টি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭৬ বই; যার মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পৌঁছেছে ১৩ লাখ ৪ হাজার বই।

জেলার মাধ্যমিকের সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ২৯৮ বই; যার মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসে এসে পৌঁছেছে মাত্র ১১ লাখ ২১ হাজার ২৮৬ বই। কিছু কিছু বিতরণ হলেও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা আরও কয়েক দিন পর সব বই হাতে পাবে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন।

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, এ বছর বই বিতরণের অনুষ্ঠানিতা নেই। তবে স্কুলগুলোতে বই বিতরণ চলছে। আজ কার্যক্রম শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে সবাই বই পাবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply